হাওর বার্তা ডেস্কঃ হ্যামার দিয়ে রড পেটাতে গিয়ে হাতে কড়া পড়ে গেছে। রডের আঘাতে পা থেকে ঝড়ছে রক্ত। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে আট বছর ধরে শয্যাশায়ী বাবা। চোখে ছানি পড়েছে মায়ের। ফুটবলার ছোট ভাইও বেকার।
তাই পরিবার বাঁচাতে রাজমিস্ত্রি পেশাকেই বেছে নিয়েছেন তিন মৌসুম আগে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে পেশাদার লিগে খেলা আরিফ হাওলাদার। ঢাকার ক্লাব ফুটবলে পরিচিত মুখ আরিফ। নারায়ণগঞ্জের এ ফুটবলার দীর্ঘদিন ধরেই ফুটবল খেলছেন। আরামবাগ, বিজেএমসির পর ২০১৭-১৮ মৌসুমে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে খেলেন প্রিমিয়ার লিগে।
পরের বছর পেশাদার লিগের সর্বোচ্চ আসরে দল না পেয়ে চলে যান চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের অগ্রণী ব্যাংকে। সর্বশেষ বাতিল হওয়া চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে অবশ্য কোনো দল পাননি আরিফ। এতদিন ধরে ফুটবল খেললেও আর্থিক অবস্থা ভালো নয় তার। বাবা-মায়ের চিকিৎসা, ছোট ভাইয়ের দেখভাল; নিজের খরচ তো আছেই।
করোনার প্রাদুর্ভাব আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে তাকে। জীবন বাঁচাতে লুকিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন এই ফুটবলার। আরিফের কথা, ‘বাবা-মাকে বাঁচাতে আমি চারশ’ টাকা দিন চুক্তিতে বিল্ডিংয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছি।
অথচ এক মৌসুমে ছয় লাখ টাকায় খেলেছি শেখ জামালে। ছোট ভাই ফুটবল খেলত। কিন্তু সেও এখন বেকার। তাই তাকেও এলাকায় চায়ের দোকান করে দিয়েছি। দু’জনে মিলে কাজ করে বাবা-মায়ের সেবা করছি।